সরকারি শিশু পরিবার চলছে অনেক সমস্যা নিয়ে

Date: 2023-05-29
news-banner

চট্টগ্রামের হাটহাজারীর সরকারি শিশু পরিবারের ফটক দিয়ে ঢুকতেই চোখে পড়ে পরিত্যক্ত একতলা ভবন। দরজা, জানালা, ছাদ কিছুই নেই। এই ভবনে শিশুদের প্রথম থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত পড়ানো হতো। পাশে আরেকটি পরিত্যক্ত ভবনে শিশুদের কারিগরি প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো একসময়। এ দুটি পরিত্যক্ত ভবনে এখন আর কার্যক্রম না চললেও অপর একটি পরিত্যক্ত ভবনে এখনো থাকছে শিশুরা। ২০১৭ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি গৃহায়ণ ও গণপূর্ত বিভাগ এই পাঁচতলা ভবনটিকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করে। এরপরও ছয় বছর ধরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শিশুরা এ ভবনেই থাকছে।

১১ মে গিয়ে দেখা যায়, ভবনের রডগুলো পর্যন্ত বের হয়ে গেছে। শিশুরা জানায়, প্রায়ই পলেস্তারা খসে পড়ে, এতে তারা আহতও হয়।

শিশু পরিবারটির দায়িত্বে থাকা উপতত্ত্বাবধায়ক সুব্রত চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, শিশু পরিবারে ১৭৫ আসনের মধ্যে বর্তমানে শিশু আছে ৬৩ জন। পাঁচতলা ভবনের ২০টি কক্ষ থাকার অনুপযোগী হওয়ায় তালাবদ্ধ আছে।


হাটহাজারী সরকারি শিশু পরিবারের (বালক) একাদশ শ্রেণিতে পড়ুয়া এক শিক্ষার্থী প্রথম আলোকে বলে, ‘মানুষ নিচের দিকে তাকিয়ে হাঁটে। আর আমরা ওপরের দিকে তাকিয়ে হাঁটি। ছাদের পলেস্তারা কখন খসে পড়বে, তার তো ঠিক নেই।’

পিরোজপুর সরকারি শিশু পরিবারে (বালিকা) ৬৮ জন শিশু থাকছে। ১৯৭৩ সালে যাত্রা শুরু করা পিরোজপুর শিশু পরিবারটির মূল ভবনকে ২০১৮ সালে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছিল গণপূর্ত অধিদপ্তর। ২০১৯ সালে আবাসিক ভবনটি ভেঙে ফেলা হয়। সেখানে নতুন ভবনের কাজ শুরু হয়েছে। বর্তমানে স্টাফদের দুটি ভবনে শিশুরা গাদাগাদি করে থাকছে।

Leave Your Comments